রাইস টোনার বানানোর নিয়ম
ত্বকের যত্নে আমরা কত কিছুই না ট্রাই করি বিশেষ করে ফর্সা হওয়ার ক্রিমগুলো কিন্তু আসলে কোন ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। তাই বর্তমানে ত্বকের যত্নে আমরা ঘরোয়া উপাদানগুলোকেই বেশি প্রায়োরিটি দিয়ে থাকি। বিশেষ করে রাইস টোনার যেটা রূপচর্চাতে অনেক বেশি কার্যকর। কারণ চালের পানিতে আছে ভিটামিন বি, মিনারেলস এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা স্ক্রিন কে ন্যাচারালি ফর্সা করে এবং স্কিনের ছোট বড় অনেক দাগ দূর করে দেয়। তাই আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে রাইস টোনার বানাতে হয়।
রাইস টোনার যেভাবে তৈরি করবেন:
- প্রথমে এক কাপ চাল নিবেন। আপনি যে কোন চাল নিতে পারেন। চালটি খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন যেন কোন ময়লা লেগে না থাকে।
- এক কাপ চালের জন্য দুই কাপ পানি নিবেন। তারপর একটি পাত্রে এই উপাদান গুলো ভালোভাবে মিক্স করে নিবেন।
- এই মিশ্রণটি আপনি এক বা দুই ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। আপনি চাইলে এ মিশ্রণটির সারারাত ভিজিয়ে রাখতে পারবেন।
- এরপর একটি পরিষ্কার ছাকনি দিয়ে পানিটা আলাদা করে নিবেন। এবং পরিষ্কার স্প্রে বোতলে এই পানি ঢেলে নিন তারপর ফ্রিজে ঠান্ডা করতে দিন। তৈরি হয়ে গেল রাইস টোনার।
- আপনি চাইলে একটি ভিটামিন E ক্যাপসুল এই রাইস টোনারের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যায় স্কিনে। আমি নিজেই এভাবে ব্যবহার করি তাইলে আপনিও ব্যবহার করতে পারেন।
রাইস টোনারের উপকারিতা:
- ত্বক কে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে এবং মসৃণ ভাব নিয়ে আসে।
- ত্বকে বড় বড় পোরস থাকলে রাইস টোনার সেটাকে ছোট করে ।
- ত্বকের কোন ব্রণ থাকলে সেটাকে ছোট করে এবং কালো দাগ থাকলে সেটাকেও কম করে এই রাইস টোনার টি।
- এছাড়াও এই রাইস টোনার টি ত্বককে টানটান করে ও ফর্সা ভাব নিয়ে আসে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন এই রাইস টোনারটি:
প্রতিদিন সকালে ও রাতে ভালোভাবে মুখ পরিষ্কার করে আপনি এই রাইস টোনার টি মুখে স্প্রে করবেন। আপনি চাইলে এর রাইস টোনার দিয়ে আপনার মেকআপ ও রিমুভ করতে পারবেন। এই রাইস টোনারটি আপনি ফ্রিজে ৫-৬ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। আপনি এই রাইস টোনারটি নিয়মিত ব্যবহার করলেই ত্বকের উজ্জ্বলতা বুঝতে পারবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url