রাতারাতি ফর্সা হোন শশার টোনার বানানোর নিয়ম শিখে

ত্বকের যত্নে আমরা ঘরোয়া উপাদানগুলোকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে তার মধ্যে একটি হচ্ছে শশার টোনার। এই শশার টোনার ত্বককে সতেজ,পরিষ্কার ও হাইড্রেটেড রাখতে অনেক বেশি সাহায্য করে। আমাদের যাদের স্কিনে অনেক ব্রণ কিংবা রোদে পড়ে দাগ আছে তাদের ক্ষেত্রে এই টোনার অনেক বেশি কার্যকরী। আমি নিজেও এ টোনারটি ব্যবহার করি তাই ভাবলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করি। 
 

 শশার টোনার যেভাবে বানাবেন

  • প্রথমে একটি শসা ভালোভাবে ধুয়ে শশার খোসাটি ছাড়িয়ে নিবেন।
  • এরপর  শশা টি কিছুটা ছোট করে কেটে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিবেন। তারপর একটি পরিষ্কার ছাকনি নিয়ে ছেঁকে নিবেন শশার রসটি।
  • আপনি চাইলে এতে কিছুটা গোলাপ জলও মিশিয়ে নিতে পারেন কিংবা অ্যালোভেরা জেল। 
  • আর যাদের ফেস অনেক বেশি তৈলাক্ত তারা চাইলে একটু লেবুর রস মিশিয়ে এই টোনার টি ব্যবহার করতে পারবেন।
  • এছাড়াও আপনি ভিটামিন E ক্যাপসুলও ব্যবহার করতে পারবেন আমি নিজেই এভাবে ব্যবহার করে থাকি।


শশার টোনার ব্যবহারের উপকারিতা

  • প্রথমত এই টোনার টি আপনার স্কিনকে অনেক বেশি সতেজ রাখে ও স্কিনকে ঠান্ডা করে। 
  • ত্বকে যদি রোদে পোড়া দাগ থাকে সেটিকেও এই টোনারটি কমিয়ে তোলে।
  • ফেসে ছোট বড় নানা রকমের ব্রণ কিংবা র‍্যাশ কমাতে সাহায্য করে।
  • ত্বক কে ভেতর থেকে টানটান করে তোলে এবং ত্বককে ভেতর থেকে ময়লামুক্ত করে। 
  • যাদের ফেস অনেক বেশি ঘেমে যায় আমার মত তারা চাইলে এই টোনারটি  অবশ্যই ব্যবহার করবেন কারণ এটি যেমন ত্বক কে ফ্রেশ রাখে ঠিক তেমনি হেলদি রাখে।

যেভাবে শশার টোনার ব্যবহার করবেন

সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে আপনি শশার টোনারটি মুখে স্প্রে করতে পারেন এবং রাতে ঘুমানোর আগেও আপনি এটি মুখে স্প্রে করতে পারবেন। এছাড়া আপনি রোদ থেকে এসে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে এই টোনার টি মুখে স্প্রে করবেন দেখবেন স্কিন অনেক বেশি ফ্রেশ লাগছে। এমনকি মেকআপ করার আগেও আপনি এই টোনার টি ব্যবহার করতে পারবেন বাইরের কেমিক্যাল যুক্ত টোনারের বদলে। যেহেতু শশা একদম প্রাকৃতিক তাই এই টোনার ব্যবহারে স্কিনের কোন ক্ষতি হবে না।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url